ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনির কাজ কি?

ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনী/Management Trainee Officer বা MTO হচ্ছে অনভিজ্ঞ ফ্রেশারদের জন্যে পোস্ট। যেকোন কোম্পানীতে, যেকোন ডিপার্টমেন্টে একজন MTO কাজ করতে পারেন। আসুন জেনে নিই মেনেজমেন্ট ট্রেইনির কিছু খুঁটিনাটি

উদ্দেশ্য কি :
টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি গুলোতে একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারকে (ডিপ্লোমা/বি.এস.সি) ট্রেইনি হিসেবে নেয়া হয় মূলতো শিক্ষানবিশ অর্থাৎ কাজ শিখিয়ে নেয়ার জন্যে।
এর কারণ হলো, এখনকার সময় বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে একজন ছাত্র/ছাত্রী মাস্টার্স শেষ করে ফেললেও প্র‍্যাক্টিকেল কাজে তেমন একটা পারদর্শী হতে পারে না। যার ফলে শুধুমাত্র টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে নয়, বরং সব ধরনের কোম্পানিগুলোতেই ফ্রেশারদের এখন ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।


শিক্ষাগত যোগ্যতা :
টেক্সটাইলের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ডিপ্লোমা থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।

কোন ডিপার্টমেন্ট:
বেশিরভাগ ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন ডিপার্টমেন্টে আপনাকে নেয়া হবে ব হতে পারে এমনটা উল্লেখ করা হয় না। কিন্তু ইন্টার্ভিউ এর সময় ক্যান্ডিডেট থেকে জিজ্ঞেস করা হয় আপনি কোন ডিপার্টমেন্ট এ কাজ করতে চান, অথবা এই মুহুর্তে আমাদের অমুক অমুক ডিপার্টমেন্ট খালি আছে আপনি কোথায় কাজ করতে আগ্রহী।

আর যদি উল্লেখ থাকে ট্রেইনি মার্চেন্ডাইজার, ট্রেইনি কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর, ট্রেইনি আই.ই আর মানে বুঝতেই পারছেন কোন ডিপার্টমেন্ট এ নেয়া হবে।

বেতন কাঠামো:
ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনির নির্দিষ্ট কোন বেতন কাঠামো নেই। তবে এই পাদে শুরূতে বেতন ধরা হয় সর্বনিম্ন ১০,০০০টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৮,০০০ টাকা (সবমিলিয়ে) পর্যন্ত। তবে ১৫,০০০ এর উপড় বেতন দেয় এমন কোম্পানির সংখ্যা কম।

ভবিষ্যৎ কেমন:
একজন ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনিকে প্রথম ৬মাস কাজ শেখানো হয় বলে, এই ৬মাসকে বলা হয় প্রবেশ পিরিয়ড। ৬মাস পর ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনিকে এসিস্টেন্ট অফিসার পদে উন্নিত করা হয় এবং বেতন বাড়ানো হয় ১০-১৫%।
দেড় থেকে দুই বছর লেগে থাকলে জুনিয়র এক্সিকিউটিভ পদ দেয়া হয় এবং পরিবর্তন হয় বেতন কাঠামো (১৭,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা)
এরপর চাইলে সামনে আগানোর কথা ভাবতে পারেন, অথবা সুইচ করতে পারেন সেটা সম্পূর্ন নিজের উপড়।
তবে আগের চেয়ে ভালো সুযোগ, বেতন কাঠামো না হলে সুইচ না করা উত্তম। মনে রাখবেন প্যারা সব জায়গাতেই আছে।

Courtesy: ©Textalk

2 comments:

Powered by Blogger.