নিজের ব্যাচের সবার শেষে চাকুরি পাওয়া ব্যাক্তিই এখন ডিভাইন গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর।


.....মুহাইমিনুল অভী
   
সেলিম রেজা ,টেক্সটাইল সেক্টরে পরিচিত মুখগুলোর একটি।যেমন মিষ্টভাষী তেমনি ব্যাক্তিত্বের পরিপূর্নতার মিশেলে গড়া আকর্ষণীয় এক মানুষ।অনুপ্রেরনার অন্য নাম।নিজের ব্যাচের সবার শেষে চাকুরি পাওয়া ব্যাক্তিটিই এখন ডিভাইন এর মত বিশাল এক গ্রুপের হর্তাকর্তা।

টেক্সটাইল বাংলা ২৪ ডট কমের কাছে খুলে বলেছেন নিজের শৈশবের কথা ,টেক্সটাইলে আসার কথা।বলেছেন উত্থানের গল্প আর নতুনদের দিয়েছেন অনুপ্রেরণা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মুহাইমিনুল ইসলাম অভী।

আপনার ছোটবেলা-

আমার দেশের বাড়ি টাঙ্গাইলে,স্কুলও স্বভাবতই সেখানেই হবে।আমি টাঙ্গাইল ডিস্ট্রিক্ট স্কুলে পড়াশোনা করেছি।আর কলেজ ছিলো মুহম্মদ আলী কলেজ।

টেক্সটাইলে ভর্তি কেন?-

আমি প্রথমে ভর্তি হয়েছিলাম খুলনার বিআইটিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ। টেক্সটাইলে তখন আমার পজিশন ওয়েটিং লিস্টে। ভর্তি কার্জক্রম শেষ হওয়ার দিনটাতেই আমি টেক্সটাইলে ভর্তি হই।টেক্সটাইলে ভর্তি হওয়ার পেছনে অনুপ্রেরণা জোগান আমার এক বড় ভাই।নিশ্চিত ক্যারিয়ার আর মোটা বেতন (হেসে) এই জন্যেই টেক্সটাইলে আসা।
তাছাড়া চাকুরির সহজলভ্যতাও একটা ব্যাপার ছিলো।

কেমন ছিলো টেক্সটাইলে ছাত্রজীবন?-

টেক্সটাইল কলেজে থাকাকালীন আমি পড়াশোনা তেমন করিনি।ব্যাকবেঞ্চারই ছিলাম।আমার সময়ে আমি রাজনীতি আর বিভিন্ন প্রকার ক্লাব নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম বেশি।বুটেক্স ডিবেটিং ক্লাব এবং সায়েন্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি অনেকদিন।

প্রথম চাকুরি-

আমাদের সময়ে দাপটের চাকুরি ছিল ওয়েট প্রসেসিং।কিন্তু আমি ছিলাম ইয়ার্নে।প্রথম চাকুরির জন্যে ইন্টার্ভিউ দিতে যাই সিনহা স্পিনিং এ।ওখান থেকে বাদ পড়ি।আমার ব্যাচের সবারই তখন চাকুরি হয়ে গেছে।একদিন খবর পেলাম ডিভাইনের ডাইং এ দুইজন লোক নিবে।আমি আর আমার এক বন্ধু জয়েন করে ফেলি সেখানে।তারপর থেকে সেখানেই আছি।

নতুনদের প্রতি উপদেশ-

নতুনদের আমি কোন উপদেশ দিবো না,টিপস দিতে পারি বড়জোর।টীপস আর উপদেশ এক জিনিস না।ফার্মের মুরগি না হয়ে দেশি মুরগি হও।খেটেখুটে অভিজ্ঞতার ঝুলিটাকে বাড়িয়ে নাও।

এদেশে টেক্সটাইলের ভবিষ্যৎ–

এককথায় গ্লোরিয়াস।আগামী ৩০-৪০ বছর অনায়াসে টেক্সটাইল টিকে থাকবে এদেশে।আমাদের মত সস্তা শ্রমিক,গ্যাস বিশ্বের আর কোথাও নেই।চিন্তার কিছু নেই এর ভবিষ্যৎ নিয়ে।
তার আগে শিক্ষার্থীদের বলবো লিডারশিপের প্রতি মনোযোগী হতে।আমাদের মিড লেভেল ম্যানেজমেন্টে এখনো অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়।

এছাড়াও উদ্যোক্তা তৈরির ব্যাপারেও বেশ কিছু পরামর্শ প্রদান করেন তিনি।ডিভাইন গ্রুপ সবসময় বুটেক্সের যেকোন শিক্ষার্থীকে সহায়তা করতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।

photo courtesy : Asif Mahbub

9 comments:

  1. সেলিম ভাই খুব ভাল মানুষ। তার সাথে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমার কি সে সৌভাগ্য হবে আল্লাহ্‌ কবুল কর । আমিন ।।

      Delete
  2. সেলিম ভাই খুব ভাল মানুষ। তার সাথে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে।

    ReplyDelete
  3. খুব ভালো, সবাই নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ছোট ভাইদের হেল্প করে করে উপরে উঠান,আর বাকি ব্যাক্তি গুলো মুড়ি বেচে খান। ভালো খুব ভালো।
    উনি এটা বললে অনেক ভালো লাগতো,পরিশ্রম কর, দেখবে তোমার কোম্পানি এবং তোমার ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জল হবে।

    ReplyDelete
  4. আর কত খাটব ভাই,,আসলে নিজের লোকজন না থাকলে সারা জীবন ইন্সেকশন টেবিলেই পড়ে থাকতে হয়,,।।

    ReplyDelete
  5. চাকরি করে আসছি ডিভাইন ফেব্রিক্স লিঃ এ,,,, আমার দেখা সেরা একজন মানুষ সেলিম স্যার ।

    ReplyDelete
  6. Ami textiles niye Diploma krchi.Amr GPA-3.03 amk kew ekta job dite parbn. reference nai bole kono company gate dukteo parchi na.
    bikramdey038@gmail.com plz help me

    ReplyDelete

Powered by Blogger.