ইফতেখার কথন।

প্রতিটা দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হাস্যোজ্জ্বল ছেলেটি সহপাঠী এবং জুনিয়রদের সাথে দেখা হলেই হাসি মাখা কথা দিয়ে শুরু করতেন। নেতৃত্বগুন তার জন্মগত অর্জন। ক্যাম্পাসের ছোট থেকে বড় সকল অনুষ্ঠানের তার হাস্যোজ্জ্বল মুখটি ছিলো সবকর্মীকে একত্রিত করার মন্ত্র।গল্পটি ১১ তম ব্যাচের চতুর্থ বর্ষের নিটওয়্যার ম্যানুফেকচার  এন্ড টেকনোলজি ডিপার্টমেন্ট এর ছাত্র ইফতেখার জুবায়ের। প্রিয় মুখ তাকে ঘিরেই সাজিয়েছি আমরা। 


বইপাগল জুবায়ের বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডা, টিভি দেখা, খেলাধুলা আর ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন। তার সব থেকে পছন্দনীয় স্থান রাঙামাটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক উৎসব থেকে সব কিছুতেই যেন সরব উপস্থিতি তার। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার পদ্ধতিতে প্রতিদিন ক্লাস, কুইজ, ক্লাসটেস্ট, অ্যাসাইনমেন্ট, টার্মপেপার তৈরির ব্যস্ততা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণের সঞ্চারক ফ্যাশন ক্লাব, সেল্ফ ডেভেলপমেন্ট ক্লাব এবং ম্যাক্রো ও রক্তদাতা সংগঠন সঙ্গে রয়েছে তার নিবিড় সম্পর্ক।


 ক্যাম্পাসের প্রিয়মুখ হিসেবে পরিচিত জুবায়ের সমানভাবে প্রিয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ল্যাব সহকারীদের কাছে। 

 প্রিয় ফুল হাসনাহেনা। কারন সারারাত অকৃপণভাবে বিলাতে থাকে তার সুবাস। প্রকৃতিতে হাসনাহেনাকে বলা হয় রাতের রাণী। কেউ কেউ অতি আকর্ষণীয়া বা প্রলুব্ধকারী রমণী বুঝাতেও হাসানাহেনা ফুলকে তুলনা করেন। কোন কোন কবি হাসনাহেনার ঘ্রাণের চেয়ে সৃষ্টিকর্তার প্রতি দৃঢ় ঈমানকে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছেন। ’হাসনাহেনার ঘ্রাণে ভোলেনা হৃদয় তার, কালেমার মেশক মাখা হৃদয় রয়েছে যার’। 

প্রিয় ব্যক্তিত্ব : আমার বাবা এবং ড. আনিসুল হক। 
প্রিয় লেখক - কাজী নজরুল ইসলাম। 
প্রিয় শিল্পগত : হায়দার হোসেন। 
প্রিয় ছবি- মাটির ময়না। 
প্রিয় খাবার: মায়ের হাতে তেলের পিঠা। 

ক্যারিয়ার নিয়ে কী ভাবছেন- জানতে চাইলে ইফতেখার জুবায়ের বলেন, ই-কমার্সে বিজনেস ইস্টাবিলিস করতে চাই। 


নিজের সফলতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, আমি স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি আর সে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে সব ধরনের কষ্ট সহ্য করতে নিজেকে তৈরি করে নেই আগেই। তারপর যখন কাজ শুরু করি তখন সবকিছু বেশ সহজই মনে হয়।বর্তমানে পড়াশোনার পাশাপাশি বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছি স্টার ওয়ার্ল্ড ফ্যাশনে।। 

অনুজদের জন্য একটাই পরামর্শ হলো, জীবনকে খুব কাছ থেকে উপভোগ করতে শিখো। যদি কিছু অর্জন করতে চাও তাহলে, সংক্ষিপ্ত পথে না হেটে দীর্ঘ পথে হাটতে শিখতে হবে।নিজের জন্য না অন্যত পরিবারের কথা ভেবে নিজের স্কিল ডেভেলপ করে নাও।

1 comment:

Powered by Blogger.