ইউনিভার্সিটির চার বছর!
ইসস! যদি আমি আবার ১৮ বছর বয়সে ফিরা যাইতে পারতাম! ইউনিভারসিটি তে যাবো যাবো করতেছি সে সময়! আমি শুধু "জিপিএ নিয়ে বাইর হমু" তা মাথায় রাখতাম না! জিপিএর চেয়ে আরো অনেক মূল্যবান ব্যাপার স্যাপার আছে তাতে Concentrate করতাম।
কি করতাম!?
১. প্রতি সেমিস্টার এ বিভিন্ন সাবজেক্ট এ থিসিস বা কোন টার্ম পেপার লিখতে দেয়। কাট পেস্ট টাইপ Plagiarism মার্কা লিখা না লেইখা একটু কস্ট কইরা ডাটা উপাত্ত নিয়া, রেফারেন্স ঘাইটা একটা পেপার দাঁড় করাইতাম। প্রফেসার ফালায় রাখতো?!। কোনই অসুবিধা নাই। ওই সাবজেক্ট এর International কোন mid বা low mid level Journal/ magazine ( হোক সেটা মাদাগাস্কার বা সিয়েরা লিওন এর) এর ঠিকানা বাইর করতাম যারা ওই বিষয় নিয়া লিখে। তাদের ফরম্যাট ফলো কইরা ওই পেপার টা পাঠায় দিতাম। পাঠানোর আগে আমার Academic লিখা ওই Journal এর পাঠক দের জন্য একটু Formatize করতাম। কিছুদিন অপেক্ষা করে আবারো অন্য Journal/ magazine এ পাঠাতাম। এইভাবে প্রতি সেমিস্টার এর প্রত্যেক টা "ফালায় দেওয়া" কিন্তু কস্ট কইরা লিখা পেপার বিভিন্ন জার্নালে পাঠাইতাম। ৪ বছরের undergraduate কোর্সে অন্তত ১০০ পেপার রিজেকশন! আর ৫ টা Acceptance! Yummy! আমার জন্য যথেষ্ট! Turn potential trash into assets!
২. প্রতি সেমিস্টার ব্রেক এ Unpaid, unofficial ইন্টার্নশীপ করতাম। ক্যামনে ম্যানেজ করতাম? আত্মিয়ের গার্মেন্টস আছে, বন্ধুর বাবার বিজনেস আছে, পরিচিত অফিস আছে! যে কইরাই হোক, খুজলে কিছু না কিছু পাওয়া যাবেই। ওইখানে মাস খানেক দরকার হইলে টাইপিস্ট, পাওয়ার পয়েন্ট মেকার, এসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করতাম। মাত্র একমাস! কি লাভ? কঠিন নেটওয়ার্ক হইতো, অফিস কিভাবে কাজ করে তা জানতাম আর অভিজ্ঞতা তো আছেই। ৪ বছর এর কোর্সে ৬ মাস এর প্র্যাক্টিকাল অভিজ্ঞতা যা IBA/DU/BUET ক্যানো Harvard / Oxford এর ক্লাশ রুম ও শিখাইতে পারবে কিনা সন্দেহ!
৩. ভলান্টিয়ারিং করতাম। কত্ত ধরনের ভলান্টিয়ার কাজ এর সুযোগ আছে আমাদের। পথ শিশুদের নিয়ে কাজ,গ্রামের স্কুল এ পড়ানো, দূর্যোগ এর সময় সাহায্য, ব্র্যাক, গ্রামিন কত্তো কি! আমি Harvard এ Master's in Learning and Teaching (M. Ed) এর জন্য এপ্লাই কইরা Accepted হই নাই। পরে যারা accepted হইছে তাদের পাবলিক প্রোফাইল এ যাইয়া দেখলাম দুই ইন্ডিয়ান যারা নাকি ওদের গ্রামে স্কুলের টয়লেট নিয়া ভলান্টিয়ার করছে। অসাধারণ কাজ। তাদের একাডেমিক ফলাফল এর চেয়েও নিশ্চই সমাজে এইটার প্রভাব অনেক বেশী ছিলো। যাই ভলান্টিয়ার করতাম সব কিছুই ছবি, ভিডিও, ব্লগপোস্ট এর মাধ্যমে record/ portfolio বানায় রাখতাম।
৪. Third year এ উঠার পর পরই ঠিক করতাম দেশে পড়বো না বিদেশে যাবো। দেশে থাকলে Master's (for example IBA) এর প্রিপারেশন নেয়া শুরু করতাম। বিদেশে প্ল্যান করলে TOEFL/ IELTS/ GRE প্রিপারেশন সহ বিভিন্ন ইউনিভারসিটি তে খোজ খবর নেয়া শুরু করতাম।
৪ বছর পরে CGPA এর বাইরে আমার যা যা থাকত:
১. Practical কাজের অভিজ্ঞতা সহ কঠিন নেটওয়ার্ক
২. International Journal Publication
৩. Volunteering experience
৪. Next academic adventure (দেশের জন্য বা বিদেশে) এর ফুল প্রিপারেশন।
এখন বলবেন সময় কই!?? মাসে ফেসবুক + আড্ডা + অতিরিক্ত ঘুম + GF/BF টাইম+ খামাখা অন্য কাজে নস্ট করা সময় যোগ করেন! একসাথে দুইটা ডিগ্রী করার টাইম আছে। Trust me!
দেখতে দেখতে ৪ বছর সময় চলে যাবে। সময় যে কি তাড়াতাড়ি যায়! এতো সেদিন ই ১৯৭৩ সালে আমি জীবনের প্রথম স্কুলে যাই - শহীদ আনোয়ার উচ্চ 'বালিকা' বিদ্যালয়। সে সময় ক্লাশ ৪ পর্যন্ত ছেলেরা পড়তে পারতো! আমার খেয়াল আছে 'শাবানা' নামের এক মেয়ের পাশে বসতে হবে বইলা আমি ভয়ে আম্মার আঁচল ধইরা কি কান্নাকাটি! সেদিন আর ক্লাশ ই করি নাই। এইতো, ৪৪/ ৪৫ বছর হইয়া গেলো!
সময় কত্তো তাড়াতাড়ি যায়! কিন্তু আমরা সময় কে ধরতে পারি না সময়মতো। পরে কি হয়? খামাখা Frustration!!! Bullshit!!!!!
Now stop reading this post, write your plan and hang in the wall! Start working, RIGHT NOW!!!
Written By: Shabbir Ahsan
No comments