বস্ত্র ও পরিচ্ছদের প্রাথমিক ধারনা।
আমরা সবাই যে পোশাক পরিধান করে আছি তা যে কাপড় থেকে প্রস্তুত করা হয় তাকেই ফেব্রিক বলে। পোশাক পরিধানের জন্য ব্যবহৃত বস্ত্র সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। যেমন - ওবেন ফেব্রিক ও নিটেড ফেব্রিক।
ওভেন ফেব্রিক (Woven Fabric)
তাঁতে বয়ন(Weaving) প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়। এই প্রক্রিয়ায় এক সেট সুতা তাঁতে লম্বালম্বিভাবে(vertical) সাজানো থাকে এবং আরো এক সেট সুতা আড়াআড়িভাবে(Horizontal) চালনা করে কাপড় বোনা হয়।
তাঁতে বয়ন(Weaving) প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়। এই প্রক্রিয়ায় এক সেট সুতা তাঁতে লম্বালম্বিভাবে(vertical) সাজানো থাকে এবং আরো এক সেট সুতা আড়াআড়িভাবে(Horizontal) চালনা করে কাপড় বোনা হয়।
লংক্লথ, ভয়েল, জিন্স, গ্যাবার্ডিন ইত্যাদি হচ্ছে ওভেন ফেব্রিকের উদাহরণ।
নিটেড ফেব্রিক(Knit Fabric)
হাতে বা মেশিনে নিটিং প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত করা হয়। এক্ষেত্রে একটি সুতার লুপ বা ফাসের মধ্য দিয়ে আরও একটি ফাঁস তৈরি করে নিটেড ফেব্রিক প্রস্তুত করা হয়। নিটেড ফেব্রিকের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে টি-শার্টের কাপড়, হোসিয়ারির কাপড় ইত্যাদি।
হাতে বা মেশিনে নিটিং প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত করা হয়। এক্ষেত্রে একটি সুতার লুপ বা ফাসের মধ্য দিয়ে আরও একটি ফাঁস তৈরি করে নিটেড ফেব্রিক প্রস্তুত করা হয়। নিটেড ফেব্রিকের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে টি-শার্টের কাপড়, হোসিয়ারির কাপড় ইত্যাদি।
যে প্রক্রিয়ায়ই বস্ত্র উৎপন্ন করা হোক না কেন পোশাক পরিচ্ছদ তৈরিতে ব্যবহৃত বস্ত্রের মধ্যে কিছু গুণাবলি থাকতে হবে। এ ধরনের বস্ত্রের কয়েকটি গুণাবলি হলো:
১। একটি নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য (Length) ও প্রস্থ (Width) থাকতে হবে।
২। শক্ত (Stiff) ও মজবুত হতে হবে।
৩। পরিধানে আরামদায়ক (Comfortable) হতে হবে।
৪। টেঁকসই (Durable) হতে হবে।
৫। উজ্জ্বল ও মসৃন (Smooth) হতে হবে।
৬। জলীয়বাষ্প ধারন ক্ষমতা থাকতে হবে।
৭। তাপ সহনশীল হতে হবে।
৮। সুন্দরভাবে ঝুলে থাকার ক্ষমতা থাকতে হবে।
বিভিন্ন পদ্ধতিতে প্রস্তুতকৃত এই বস্ত্রকে(Fabric) ছেঁটে (Cutting) পরিধান ও ব্যবহার উপযোগী যা কিছু তৈরি করা হয় তাই হচ্ছে পরিচ্ছদ (apparel)।
Saikat Hossen Shohel
E-mail: saikatsh7@gmail.com
E-mail: saikatsh7@gmail.com
No comments